নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন বরিশাল সিটি নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ জুন। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দল থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা প্রচারণাসহ নানাবিধ নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। শুধু মেয়র প্রার্থীরাই নন, নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও তোরজোড় করে গোছাচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। পৌছে যাচ্ছেন ভোটারদের দোড়গোড়ায়। মেয়রের পাশাপাশি এবারে নতুন কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বর্তমান কাউন্সিলরদের প্রতি আস্থা রেখেই পুনরায় তাদেরই জনপ্রতিনিধিত্বের চেয়ারে বসাতে চাচ্ছেন অধিকাংশ ওয়ার্ডের ভোটাররা।
তেমনি নগরীর ০৬ নং ওয়ার্ডের ভোটারদের প্রত্যাশা প্রকাশ পেয়েছে। তারা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো বর্তমান কাউন্সিলর খাঁন মোঃ জামাল হোসাইন কে পাশে চাচ্ছেন বলে প্রত্যাশা প্রকাশ পেয়েছে।
জানা যায়, ৬ নং ওয়ার্ডে একজন সফল জনপ্রতিনিধিত্ব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন খান মোঃ জামাল হোসাইন ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একজন সফল জনপ্রতিনিধিত্ব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমান কাউন্সিলর খান জামাল হোসাইন।
তিনি ওয়ার্ডবাসীর সুবিধা-অসুবিধায় সর্বদাই একধাপ এগিয়ে রয়েছেন। তার নানাবিধ মানবিক কর্মকান্ডে ইতিমধ্যেই একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিতি লাভ করেছেন।ওয়ার্ডবাসীর ভাগ্যয়োন্ননে নিরলস কাজ করে গেছেন জামাল। তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। এলাকার মানুষের আলাপচারিতায় একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা উঠলে সর্বাগ্রে তার নামটি উঠে আসে। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন খান জামাল।
এদিকে মাদক নির্মূলেও সফলভাবে ভুমিকা রেখেছেন খান জামাল। তিনি ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত রাখতে সর্বদা সচেস্ট ভুমিকা পালন করেছেন। যার কৃতিত্বস্বরুপ ইতিপূর্বে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে সন্মাননা স্মারকও পেয়েছেন তিনি।
একান্ত আলাপকালে কাউন্সিলর খান মোঃ জামাল হোসাইন প্রতিবেদককে বলেন, মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। তাদের দুর্ভোগ লাঘবের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত সেটি অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ওয়ার্ডবাসীর ভোগান্তি লাঘবে নানাবিধ সমস্যা নিরসন করেছি। এর মাধ্যমে কলোনীতে বিশুব্ধ পানি সংকট , চলাচল অনুপযোগী রাস্তাঘাটের সমস্যা দূরীভুত হয়েছে।
ওয়ার্ডে কয়েকটি কলোনী রয়েছে যেখানে রাস্তা ঘাট চলাচল অনুপযোগী ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মানুষের ভোগান্তি হয়। এবারে নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের এসব সমস্যা নিরসন করব।
সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ইভিএম একটি সহজ পদ্ধতি। যেখানে মানুষ সহজেই তার ভোট দিতে পারেন। এটি একটি স্বচ্ছ পদ্ধতিও। এ পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠিতের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
খান জামাল আরও বলেন, মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। সবসময় সেটি অব্যাহতও থাকবে। ওয়ার্ডকে একটি উন্নত ও তিলোত্তমা ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব।
এ বিষয়ে তিনি সকলের কাছে দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।
Leave a Reply