আগামী রোববার দুপুরের দিকে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, ওই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার। সারাদেশে শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এবার কক্সবাজার উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। তাই কক্সবাজার এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ওই এলাকা শুধু ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতির কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনটা নয়। অতিবৃষ্টিতেও সেখানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আতঙ্কে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা দ্বীপ ছাড়তে শুরু করেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে সকাল থেকে কিছু মানুষ দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। দ্বীপের মানুষ যেন সুস্থভাবে টেকনাফ পৌঁছাতে পারে আমরা সেদিকে খেয়াল রাখছি।
শুক্রবার (১২ মে) সকালে আবহাওয়া দপ্তরের সবশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, মোখা ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply