কলাপাড়া প্রতিনিধি // বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। সারাবছর পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়। তবে রমজানে পর্যটক না থাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরেছে আসল রূপে।
সৈকত ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন পয়েন্টজুড়ে মৃদু ঢেউয়ের গর্জন। তিন মোহনায় নতুন সাগরলতার দোল আর সঙ্গে রয়েছে সাদা ঝিনুকের ছড়াছড়ি। গঙ্গামতিতে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। পর্যটক কম থাকায় বালিয়াড়িতেও এসেছে পরিবর্তন।
রমজানজুড়ে পর্যটক কম থাকলেও ঈদ পরবর্তী ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়। এ প্রত্যাশায় পর্যটকদের বরণ করতে ধোয়ামোছা আর রংতুলির আঁচরে সেজেছে হোটেল-মোটেলগুলো।
স্থানীয় শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সৈকতে একটি সময় ছিল বালুর উঁচুনিচু মাঠ। তাতে গোস্তলতার (সাগরলতার) ছড়াছড়ি ছিল। কিন্তু সমুদ্রগর্ভে সব বিলীন হয়ে গেছে। এখন আবার কিছু জায়গায় এগুলোর দেখা মিলছে। এগুলোকে সংরক্ষণ করা গেলে সৈকতের সৌন্দর্য আরও বাড়বে।’
বিচ ট্যুর গাইড জুয়েল রানা বলেন, ‘সবমিলিয়ে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমনের এখন একটি সুন্দর সময়। কুয়াকাটা ভ্রমণে বর্ষা মৌসুমকে অনেকে বেছে নেন। কারণ বর্ষায় প্রকৃতি তার আসল রূপে ফিরে আসে।’
হৈমন্তী ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আলমাস জানান, দীর্ঘ একমাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। এ সুযোগে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টের প্রকৃতি ডানা মেলেছে। নতুন প্রকৃতি উপভোগের পাশাপাশি সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউয়ে মেতে উঠবেন ঈদে আগত পর্যটকরা।
হোটেল সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত একমাসে তেমন পর্যটক পাইনি। তাই এ সময়টাকে কাজে লাগিয়ে হোটেলের ধোয়ামোছা, পরিষ্কার, নতুনত্ব ফিরিয়ে আনা—সবকিছু আমরা শেষ করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু বুকিং হয়েছে। আশা করি বাকিগুলো ঈদের দু-একদিনের মধ্যে বুকিং হয়ে যাবে।’
ঈদে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানাপুলিশ ও নৌপুলিশের সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন করা হয়েছে বলে জানান কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ।
Leave a Reply