আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ আরও অনেকেই।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘তারা (ফায়ার সার্ভিস) অসংখ্য কষ্ট করেছেন। তাদের ঘাম ঝরেছে, তাদের অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন শুনবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেজাল্ট কী আসল। আমরা কী পেলাম। আমরা পেলাম, সব ব্যবসায়ীর স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু স্বপ্ন না, সব ব্যবসায়ীর বেঁচে থাকাও কষ্টকর হয়ে গেছে।’
বঙ্গবাজারে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি আছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর জন্য কখনই চেষ্টা করে নাই। তারা যদি আগুন নেভানোর চেষ্টা করতো তাহলে ৬টায় আগুন লেগে থাকলে মহানগর মার্কেট সকাল ১০টা বাজে খুলছে। পাশে সিদ্দিকবাজারে যে বেস্ফিারণ হয়েছে সেখানে কিন্তু তারা ভেতর থেকে কাজ করেনি।’
এ সময় সাড়ে ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিস বড় গাড়ি বের করেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আরেকজন ব্যবসায়ী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কেন থাকবে এই পুলিশের হেড কোয়ার্টার, ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টার…এটা সেটা কেন, কী কাজে আসে। আমি তো দেখি কোনো কাজে আসেনি। কী কাজে এসেছে আমকে কেউ একটা উত্তর দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ এখানে চারটি মার্কেট পুড়ে গেছে। যদি একটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো তখন বলতে পারতাম তারা সফলতা অর্জন করেছে।’
আরেক ব্যবসায়ী বলছিলেন, ‘আমি মালামাল বের করতে পারিনি। আমি যখন ঢুকেছি আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। উনারাও (ফায়ার সার্ভিস) ভেতরে ঢোকে নাই। তারা শুধু বাইরে থেকে মার্কেটের এক কোনায় পানি দিছে।
Leave a Reply