আহতরা হলেন, জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা গ্রামের মসির উদ্দিনের ছেলে তারা মিয়া (৪০) ও সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী কাকলি বেগম (৩৫)। আহতদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এছাড়া বাকী তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেছে।
পুলিশ ও বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্র থেকে ৮/৯ জনের ডাকাত দল যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে। বাসটি মধুপুর উপজেলার দেওলাবাড়ি পার হলে ডাকাল দল বাসটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পরে তারা যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে ডাকাত দল পাঁচজন যাত্রীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে ডাকাতদল মধুপুরের রক্তিপাড়ার উত্তর পাশে নরকোণা এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়।
মধুপুর থানার দায়িত্বরত চিৎকিসক ডা. রিদোয়ান আলম রিজভী ও ইর্মাজেন্সী ডিউটি এসিস্ট্যান্ট মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় রাত ২টার দিকে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে গুরুতর আহত অবস্থা হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিৎকিসা শেষে তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এরআগে ২০২২ সালের ৩ আগষ্ট কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রামী ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাস ডাকাতির কবলে পড়ে। এতে তিন ঘণ্টা বাসটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে হাত-পা চোখ মুখ বেধে, ডাকাতি ও এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে বাসটি জেলার মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা যাত্রীদের উদ্ধার করে।
Leave a Reply