ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলার নথি পেয়ে আজ রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ তারিখ ঠিক করেন।
পল্টন থানার ওই মামলায় সম্প্রতি চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। চার্জশিটে আসামি নুরুল হক নুর পলাতক মর্মে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি নুরুল হক নুর ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এর মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে। তিনি দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করাসহ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির চেষ্টা করেন।’
২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, আসামি নুরুল হক নুরের ফেসবুক লাইভের ওই বক্তব্যের নিচে অনেকে লাইক দিয়েছেন ও মন্তব্য করেছেন। এসব মন্তব্যের ভেতর সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য আছে।
এতে আরও অভিযোগ করা হয়, নুরের বক্তব্য আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত হানে। তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও শ্রেণির মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও ঘৃণা সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। নুর ও তার সহযোগী-সমর্থকদের আইনের আওতায় আনা গেলে আওয়ামী লীগের অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান কর্মী-সমর্থকদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, একই ঘটনায় ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম সজীব মামলাটি দায়ের করেন।
Leave a Reply