মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠির বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হবে। নির্বাচন কমিশন দিয়ে চিঠি সরকারের নতুন কৌশল, কমিশনের কোনো ক্ষমতা নাই কিছু করার। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তাই আসল জায়গায় কাজ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা দিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে নতুন খেলায় নেমেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মুখে গণতন্ত্র ও ভোটের কথা বলবে, আর প্রশাসনকে যেভাবে বলবে সেভাবে চলবে। আবারও একই পায়তারা করছে, পশ্চিমা বিশ্ব আগের মতো নির্বাচন চায় না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে নয়, জনগণকে ক্ষমতায় আসতে দেয়ার সুযোগ করতে হবে। মানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।’
দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, বিশ্বে দাম কমলেও দেশে কমে না, সব চুরি করার কারণে।
‘আজকে যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা ভয়ঙ্কর মিথ্যা ইতিহাস দীক্ষা দিচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনা কি চুরি করা? লুট করে ভোট কেড়ে নেয়া? সিন্ডিকেট করে রমজানে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি করা? সেদিন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক শূন্যতা ও ব্যর্থতার কারণেই ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা ঘটেছিল,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আহমেদ আজম খান, এজএড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।
Leave a Reply