মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যেহেতু গ্রহাণুর নামের পাশে ‘কিলার’ শব্দটি রয়েছে, ফলে যে কেউ নাম শুনলে চমকে যেতে পারেন। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই, এটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে গেলেও কোনো ক্ষতি করবে না।
পৃথিবী থেকে গ্রহাণুর দূরত্ব হবে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। অন্যদিকে, চাঁদ থেকে এই গ্রহাণুর দূরত্ব হবে ১ লাখ ৭০ হাজার কিলোমিটার। গ্রহাণুর আকার মাত্র ১৩১ থেকে ৩২৮ ফুট।
যদিও বায়ুমণ্ডলে এই আকারের অসংখ্য গ্রহাণু রয়েছে, তবে এটি আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড মোইসি সিএনএনকে জানিয়েছেন, এই গহাণুটির বিশেষত্ব হলো, এটি অনেক বিরল। এই আকারের একটি বস্তুর পক্ষে পৃথিবীর এতো কাছে দিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক। এটি প্রতি দশ বছরে একবার হয়।
পৃথিবীর কাছাকাছি আসার পর বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুটির আকার ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে আরও গবেষণা করতে সক্ষম হবেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড মোইসি জানিয়েছেন, গ্রহাণুর নামের সঙ্গে ‘সিটি কিলার’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে দুটি গ্রহাণুর উপর ভিত্তি করে, যা পৃথিবীকে প্রভাবিত করেছিল।
১৯০৮ সালে তুংসা ঘটনার সময় একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে একটি শকওয়েভ পাঠিয়েছিল। ফলে সাইবেরিয়ার ২ হাজার কিলোমিটার বনভূমি ধ্বংস হয়ে যায়। এছাড়াও, প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে একটি লোহার গ্রহাণু বর্তমান যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় ১ দশমিক ২ কিমি প্রশস্ত এলাকায় ১৮০ কিলোমিটার গভীর খাদ তৈরি করেছিল।
মইসি আরও জানিয়েছেন, যখন একটি মহাকাশের কোনো বস্তু পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করে এবং মাটিতে জোরে আঘাত করে, যদি ঘটনাটি জনবসতিহীন এলাকায় ঘটে, তখন চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু যদি তা কোনো শহরে আঘাত করে তবে সেই শহর ধ্বংস হয়ে যাবে।
যার কারণে শহর থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হবে। কারণ, এই আকারের গ্রহাণুগুলো একটি শহরকে ধ্বংস করতে পারে, তাই তাদের বলা হয়, শহর হত্যাকারী বা ‘সিটি কিলার’।
Leave a Reply