গ্রামগুলো হলো- উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বড়ছড়া, চাঁনপুর, পুরানঘাট, আমতৈল, রজনীলাইন ও মাহারাম।
এসব পরিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরও উদযাপন করেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে। তবে কোরবানির ঈদ ঈদুল আজহা বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে পালন করেন তারা।
আমতৈল গ্রামের শিক্ষক জহিরুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জা কিল দরবার শরীফের অনুসারী তারা। তাদের পূর্ব পুরুষরা ওই দরবার শরীফের মুরিদ। তাই সেখানকার দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী, তারাও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও সেহেরি খেয়ে রোজা রেখেছি।’ তবে ঈদুল আজহা সারাদেশের ন্যায় উদযাপন করেন বলে জানান এই শিক্ষক।
আমতৈল মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মতিউর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামেও তাদের অনুসারী রয়েছেন। ওই গ্রামে অন্তত ১০টি পরিবার আজ বৃহস্পতিবার রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সেহেরি খেয়েছেন।
আমতৈল গ্রামের অধিকাংশ পরিবারে রোজা ও ঈদ উদযাপনে ভিন্নতা হলেও তাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ কিংবা হানাহানি নেই বলে জানান মতিউর রহমান।
রজনীলাইন গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়া বলেন, আমতৈল, পুরানঘাট, মাহারাম, রজনীলাইন, চাঁনপুর গ্রামের অন্তত দুই শতাধিক পরিবার তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রোজা রাখেন।
বড়দল উত্তর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আমতৈল গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম আকাশ জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও তার গ্রামের লোকজন উৎসবমুখর পরিবেশে রোজা রাখার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া জানান, তার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সেহেরি খেয়ে রোজা রেখেছেন।
Leave a Reply