নিহত আমিনুল ইসলাম ওই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।
আদমদিঘী-দুপচাঁচিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল নাজরান রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত আমিনুল স্থানীয়ভাবে এক সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। লক্ষ্মীপুর গ্রামে শাহীনের নেতৃত্বে এই চক্রের ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য কাজ করেন। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে জমি কেনাবেচাসহ নানরকম বিচার-সালিশে তদবিরে কাজ করতেন। সম্প্রতি এক জমি কেনাবেচা নিয়ে এই চক্রের হাতে ২ লাখ টাকা আসে। টাকাগুলো তাদের দলনেতা শাহিনের কাছেই ছিল। ওই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গতকাল রাতে লক্ষ্মীপুর গ্রামে শেখ রাসেল ক্লাবের সামনে বৈঠক বসে। ওই মিটিংয়ে আমিনুলের সঙ্গে শাহিনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
এর জেরে বৈঠক শেষেই শাহিন তার সহযোগী তহিদুল, ইসলাম কবিরাজ, আরিফ, বাবু ও মজিদসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে আমিনুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে রাত থেকেই অভিযান চলছে। ঘটনাস্থলে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply