তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি না যে কোনো বাড়িতে বা রেস্তোরাঁয় সভা করা যাবে না। বিএনপি বাংলাদেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক দল। কোনো কারণ ছাড়া যেন বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা না হয়। আর গ্রেপ্তার করার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। এটা সম্পূর্ণ সত্য নয়।’
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, রমজান মাসে নির্বিঘ্নে ইফতার মাহফিল কর্মসূচি করতে চায় বিএনপি। এ ব্যাপারে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যের মধ্যে ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তারা বেলা ১১টায় ডিএমপিতে যান। প্রায় ৪০ মিনিট পর সেখান থেকে বেরিয়ে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার সাহেব খুব আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছেন, আপনারা আমাদের অবহিত করবেন, কোন সমস্যা হবে না। সেটা তিনি দেখবেন। তারা গ্রেফতারের ব্যাপারে বলেছেন, আমরা শুনেছি, জেনেছি। আমরা এ ব্যাপারে দেখব ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়।’
তিনি বলেন, ‘সার্বিক ব্যাপারে আমরা সব তুলে ধরেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়গুলো তিনি দেখবেন এবং দেখার ব্যবস্থা করবেন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা ঢাকা মহানগরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে গিয়ে পুলিশী হয়রানি ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলো ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করার পাশাপাশি বিষয়টা জানাই, যে কি কারণে গ্রেফতার হচ্ছে? এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখা গেছে ইতোমধ্যে আমাদের যে নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা সবাই জামিনে আছেন। যে সমস্ত মামলা সরকার অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে দিয়েছে, তারপরও সেগুলো হাইকোর্ট ও জজকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া হয়েছে।’
আব্দুস সালাম বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্রের কথা বলছে, রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে। আর এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে কাবু করার জন্য, বিএনপিকে ঘরে ঢুকানোর জন্য, তারা বিএনপি নেতা, সংগঠককে বেছে বেছে, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবে এটা হতে পারে না। এটার আমরা প্রতিবাদ করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বিঘ্নে ইফতার মাহফিলগুলো করতে চাই। এ ব্যাপারে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যতটুকু পুলিশের সহযোগিতা দরকার। সেই সহযোগিতা আমরা চাই। কোথাও যাতে অন্যায়ভাবে কোন গ্রেফতার না হয়, সে ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করি, সেটা তাকে বলেছি।’
Leave a Reply