এদিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়, জালাসি, ধাক্কামাড়া, তেতুলিয়া বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। থেমে থেমে পিকআপ ভ্যানে বসে টহল দিচ্ছেন বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। এ নিয়ে জনমনে এখনো কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ছোট ছোট জটলা। তাদের প্রায় সবার আলোচনার বিষয়বস্তু গতকালের সংঘর্ষের ঘটনা। শহরের সিনেমা হলের সামনে রাজমিস্ত্রি দুলাল হোসেন (৩৩) বলেন, ‘ভাই চোখের পলকে এত লোক কোথা থেকে আসিল বুঝা গেল না। কাদিয়ানিদের (আহমদিয়া) অনেকের বাড়িতে আগুন দেয়ার পাশপাশি লুটও করেছে। গরুও নাকি হারাইছে কয়েকটা। সকালে গরু খুঁজতে আমাদের বাড়ির ওদিকে কাদিয়ানিরা গেছে।’
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শহর ও শহরতলীতে সাড়ে ৩০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাবের পাঁচটি টহল টিম ও বিজিবি ১৭ প্লাটুন সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছেন।
পঞ্চগড় শহরের উপকণ্ঠে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া জামাতের শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জলসা বন্ধের দাবিতে শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় দুজন নিহত ও পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আহমদিয়াদের জলসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply