1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
জিয়াউদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখরিত রুপাতলী এলাকা, মিষ্টি বিতরণ বরিশাল মহানগর/ এক নাসরিনে বিব্রত বিএনপি ! এআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণসভা ছাত্রীনিবাসে নগর বিএনপি’র নাসরিনের প্রভাব বিস্তারে সেনাবাহীনির কাছে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের ! বরিশালে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদযাপন বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানসহ দুইজনের আইডি হ্যাকড, থানায় জিডি উজ্জীবিত বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, জিয়াউদ্দিন সিকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা উজ্জীবিত বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, জিয়াউদ্দিন সিকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ‘বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্যরা সাবেক কাউন্সিলরের নিজস্ব কার্যালয় দখল, বিএনপি’র ইউনিট কার্যালয় স্থাপন

অগ্নিঝরা মার্চ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৩ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ। এই মাস বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সাক্ষী। মার্চ মাস বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের কারণে ঐতিহ্যমণ্ডিত। চলতি বছরের ২৬ মার্চেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছরে পা রাখবে। এই মাসের ২৫ তারিখ থেকে লেখা শুরু হয়েছিলো এক অমর মহাকাব্য, যার নাম বাংলাদেশ।

 

বাঙালির জীবনে ভাষা আন্দোলনের স্মারক মাস ফেব্রুয়ারির পর মার্চের গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত লড়াই শুরু হয় এই মার্চেই। এই মাসেই বাঙালি প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। উত্তাল একাত্তরে পুরো মার্চ মাসজুড়ে বাঙালির চোখে ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন।

দীর্ঘদিন ধরে এদেশের শোষিত, নিপীড়িত, অধিকারবঞ্চিত মানুষ স্বাধিকারের জন্য লড়াই করে আসছিল। মহান ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল জাতিসত্তার স্বরূপ অন্বেষার এক একটি মাইলফলক। সত্তরের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরও তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা ষড়যন্ত্র ও টালবাহানা করছিলো।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ, সারা দেশই তখন অগ্নিগর্ভ। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন বেতার ভাষণে ৩ মার্চের গণপরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের একটি প্রধান দল পিপলস পার্টি এবং অন্য কয়েকটি দল ৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান না করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বেতারে এ ঘোষণা প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

এ সময় তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম) পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশের ক্রিকেট খেলা চলছিলো। ইয়াহিয়া খানের ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক খেলা ছেড়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে হাজারো মানুষ পল্টন-গুলিস্তানে বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। সেই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়।

সেদিন মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার পূর্বাণী হোটেলে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। ক্ষুব্ধ ছাত্ররা সেখানে গিয়ে প্রথমবারের মতো স্লোগান দেয়, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। ছাত্ররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানায়। বিক্ষোভ-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকাসহ গোটা দেশ।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে পূর্বাণী হোটেলেই বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাইরে চলছে বিক্ষুব্ধ বাঙালির কঠোর কর্মসূচির দাবিতে মুহুর্মুহু স্লোগান। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু ২ ও ৩ মার্চ তৎকালীন পাকিস্তানে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেন। ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসভার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব—ইনশাল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা। ’

এরপর পাকিস্তানি সৈন্যরা ২৫ মার্চ রাতে কামান, মর্টার, রাইফেল নিয়ে অতর্কিতে ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু তখন গ্রেফতার হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে তার সর্বশেষ বাণী বাংলার মানুষের কাছে পাঠান এই বলে, ‘এই হয়তো তোমাদের জন্য আমার শেষ বাণী। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। যে যেখানেই থেকে থাক, যে অবস্থায়ই থাক, হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তোল। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে, যতদিন পর্যন্ত না দখলদার পাকিস্তানিদের শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটিতে থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।’

মূলত এটিই ছিলো স্বাধীনতার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর থেকেই স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করে বীর বাঙালি। ঢাকাসহ গোটা দেশে পত পত করে উড়তে শুরু করে সবুজ জমিনের উপর লাল সূর্য আর সোনালি মানচিত্রের পতাকা। বাংলার আন্দোলন-সংগ্রামের ঘটনাবহুল ও বেদনাবিধুর স্মৃতি বিজড়িত ১৯৭১-এর এই মার্চ মাস, একইসঙ্গে গৌরব ও অর্জনেরও মাস এই মার্চ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ