মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল হোসেন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার রসুলপুর দাহাড়পুকুর (গুচ্ছগ্রাম) এলাকার আ. জলিলের ছেলে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তার বাবা জলিল ও মা লিলি বেগমকে মামলা থেকে খালাস দেয় আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার রসুলপুর দাহাড়পুকুর এলাকার জুয়েল হোসেন লাইলী বেগমকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশও হয়েছিল। ওই সময় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন লাইলি। ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই রাতের কোন এক সময় জুয়েল তার স্ত্রীকে মারপিট করে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে সকালে লাইলির লাশ উদ্ধার করা হয় এবং তার পেটে থাকা ৭ মাসের সন্তানও মারা যায়।
এ ঘটনায় পরের দিন নিহতের বোন রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে তিনজনের নামে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও গর্ভে থাকা ৭ মাসের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় আদালত আজ এ রায় দেন।
অন্যদিকে আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণে আসামির বাবা ও মাকে হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন জয়পুরহাট জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ও এপিপি উদয় সিংহ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড. উজ্জল হোসেন।
Leave a Reply