রোববার সকালে নওগাঁয় ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন তিনি।
কোন ডিলার অনিয়ম করে ওজনে কম, দাম বেশি নেয়া এবং পচা ও নষ্ট আটা-চাল বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কতিপয় ব্যক্তিরা ওএমএস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করছে। ডিলাররা পচা চাল বিক্রি করছে এমনকি গরুও সেই চাল খাবে না। কিন্তু তারাই আবার সেই চাল কিনছে। যে চাল মানুষ খেতে পারবে না সেই চাল স্মাগলিং (চোরাচালান) হয় কীভাবে। তারা অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং যা অব্যাহত থাকবে।
নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যতদিন মানুষের কাছে চাহিদা থাকবে ততদিন খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রির (ওএমএস) কার্যক্রম পরিচালনা হবে। এছাড়া ১ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি হবে। তবে ওএমএস চলতে থাকবে।
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি করে মন্ত্রী বলেন, অতি মুনাফার লোভে খাদ্যদ্রব্য মজুত করে মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নতুন আইন হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারি ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply