বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ৫৮ গ্রাম গাঁজা, ২ টি মোবাইলফোন এবং পরিচয় পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তৈরী করা ১ টি জাল এসএসসি সার্টিফিকেট জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ১০৫০/৩ কাঁঠালতলার একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন কবিরকে শ্বাসরোধ করে বিষক্রিয়া ইনজেকশন শরীরে প্রবেশ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফজিলাতুন্নেছা।
অধিনায়ক জানান, ২০১৩ সালে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হুমায়ুন হত্যাকান্ডের পর পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে চাকরি করে পলাতক জীবন শুরু করেন। পরে ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে জাল এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরি করে ঢাকায় এসে একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানীর সেলস ম্যান হিসেবে চাকরি শুরু করেন।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও জানান, গ্রেপ্তার ফজিলাতুন্নেছা ২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে চিত্রজগতের সাথে জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে চিত্রজগতের সাথে তার দৈনন্দিন অভিনয় জীবন চলমান থাকা অবস্থায় তার ব্যক্তিগত পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা ওরফে রিয়া থেকে সুকৌশলে ছদ্মনাম সুহাসিনী ওরফে অধরা নামে পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেন। পরে ওই নামে চিত্র জগতে নিজেকে বিখ্যাত মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্ত টাওয়ারের একটি বাসায় নিজেকে আত্মগোপন করে বসবাস করছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
Leave a Reply