এ বিষয়ে পালিকা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জলিমং মারমা দ্য বলেন, ‘বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধ নেই। পাহাড়ের কোমলমতি শিশুরা পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস পড়তে পারলেও বাস্তবে শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধ দেখেনি।’
জানা যায়, বান্দরবান জেলায় ৪৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও হাতেগোনা কয়েকটিতে রয়েছে শহীদ মিনার। এ কারণে জেলা বা উপজেলা শহরের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারলেও দুর্গম বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায় না। ফলে মাতৃভাষার জন্য লড়াইয়ের পটভূমি, শহীদ দিবসের মর্যাদা এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আত্মদানকারীদের সম্পর্কে জানার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ৪৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষার্থী। সেগুলোর মধ্যে ১৩টি ছাড়া বাকি ৪২২টিতে নেই শহীদ মিনার ও শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ।
বান্দরবানের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম জানান, জেলার অধিকাংশ স্কুলে শহীদ মিনার না থাকলেও বিশেষ জাতীয় দিবসে স্কুলগুলো খোলা রাখা হয় এবং সব স্কুলে জাতীয় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধ থাকাটা জরুরি। যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও অর্থ বরাদ্ধ পেলে শিগগির বান্দরবানের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply