তিনি লাইব্রেরী সাইন্স ডিপ্লোমার যে সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন তা জাল বলে অভিযোগ ওঠার পরেই কৌশলে চাকরিতে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি।
চাকরি ছাড়া শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার পাতাড়ী ইউনিয়নের বৈকন্ঠপুর গ্রামের মো. আব্দুল রশিদের ছেলে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে ও কাগজপত্রের আলোকে জানা যায়, আব্দুল আলিম সহকারী শিক্ষক (তথ্যবিজ্ঞান) দীর্ঘদিন ধরে ভাসান্যা আদম ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী সাইন্স ও তথ্যবিজ্ঞান ডিপ্লোমার সনদপত্র ব্যবহার করে চাকরি করে আসছেন। ২০১৫ শিক্ষাবর্ষের পাশ করা সনদ দিয়ে ২১ নভেম্বর ২০১৬ সালে যোগদান করেন এবং সে সনদ দিয়ে তিনি এমপিওভুক্ত হন। তার চাকরি নেয়া সনদপত্রের রোল নং ১৫০১৫১২, রেজিঃ নং ১৪৬২৬০০১৬১৯ এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং ৬৪১৮৬৬৩৫৭৪০৪৫। এবিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কৌশলে সে অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে চাকরিতে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাকরি ছাড়া শিক্ষক মো. আব্দুল আলিমের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও সেটি রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ভাসান্যা আদম ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সুফিয়ান খান বলেন, আব্দুল আলিমের ডিপ্লোমা সনদের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানার পর তাকে প্রশ্ন করলে সে কোন উত্তর না দিয়ে চাকরিতে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। আগামী কয়েকদিন পর মিটিং করে সে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply