এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে ট্রাকের চালকসহ ১৪ জনকে আটক করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে.এম.শহিদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল রোববার সকালে খুলনা ৪ নম্বর ঘাট থেকে খাদ্য পরিবহন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকী পরিবহন ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্সের ৬টি ট্রাকে সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন করে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন গমের চালান আসে। খালাসের সময় ট্রাকগুলো থেকে গমের বস্তার পরিবর্তে ২৮ বস্তা বালি ও ৬ টি বড় ধরনের পাথর পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে.এম.শহিদুল হক বলেন, এদিন ভোর রাতে ৬টি ট্রাক আমদানী করা গম নিয়ে খুলনার রূপসা ৪ নম্বর ঘাট থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে আসে। সকাল ৯টায় ট্রাক থেকে গম খালাস করার সময় গমের সাথে বের হতে থাকে বালির বস্তা ও পাথর।
চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিদেশ থেকে আমদানি করা গমের চালান চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামে আসতে শুরু করে।
এ ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদকে প্রধান করে সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক নাসরিন বানুকে নিয়ে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে.এম.শহিদুল হক।
Leave a Reply