1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
হয়রানীমুক্ত স্বস্তির টার্মিনালে পরিনত ‘বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, প্রশ্নবিদ্ধে অসাধুরা সক্রিয় ! প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ বরিশাল সদর উপজেলা/ বিএনপি নেতা বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি, কেন্দ্রে অভিযোগ ! খুলনার সমাবেশে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশ নেয় বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপি খুলনার সমাবেশে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে অংশ নেন বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদার সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী এখন ছাত্রদলের দাপুটে নেতা! বরিশালে জমি দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও লুটপাট আহত অন্তত ৭ জন, থানায় অভিযোগ বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কঠোর তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু পরিবেশে শেষ হলো এসএসসি পরীক্ষা!  বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কঠোর তত্ত্বাবধানে সুষ্ঠু পরিবেশে শেষ হলো এসএসসি পরীক্ষা!  বরিশাল নগরীতে ছাত্রলীগ কর্মী প্রতারক জুম্মান-সাজ্জাদ গ্রেপ্তার

আত্মগোপনে ছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসা‌মি

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৩৩ 0 সংবাদ টি পড়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক // ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগে ২০১৫ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় মো. আব্দুল মজিদকে (৮০)। ২০১৪ সালে মামলা হওয়ার পর বিচার কার্য চলাকালে আব্দুল মজিদ তার নিজ এলাকা নেত্রকোনার পূর্বধলা ছেড়ে প্রথমে ঢাকার ফকিরাপুল, পরে মাদারীপুরে পরিচয় গোপন করে একটি কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে পলাতক জীবন শুরু করে।

নিয়মিত বাসা পরিবর্তন, অন্যের রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড দিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার, জনসমাগম, সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চললেও অবশেষে বুধবার রাতে মাদারীপুর সদর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার দুপু‌রে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আ‌য়ো‌জিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামি আব্দুল মজিদ ১৯৭০ সালে জামায়াত ইসলামীর পূর্বধলা থানার জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মজিদ রাজাকারদের প্রধান বাহিনী আল-বদর পুর্বধলা রামপুর থানা কমিটির প্রধান হন। পুর্বধলা রামপুর মৌদাম গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকসহ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে ২১ আগস্ট দুপুরে আব্দুল মজিদ তার দলবল নিয়ে বাড়হা গ্রামের খালেকের বাড়িতে খালেকসহ মুক্তিবাহিনীর সকলকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেকের লাশটি পার্শ্ববর্তী কংস নদীতে ফেলে দেয় তারা এবং অপরাপর মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ কোকখালী নদীতে বস্তাবন্দি করে ফেলে দিয়ে আসে। তারা আব্দুল খালেকের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগও করে। মজিদ পূর্ব মৌদাম গ্রামে একটি মুক্তি কয়েদখানা গড়ে তোলে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতনপূর্বক নৃংশসভাবে হত্যা করতো মজিদ রাজাকার।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ৩৬তম রায়ের বিষয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, হত্যাকান্ডের দিন পালিয়ে বেঁচে যাওয়া আব্দুল কাদের ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আব্দুল মজিদসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালে আরও তিনজনসহ মোট সাতজন আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। বিচার চলাকালে এই মামলার দুইজন আসামি আহম্মদ আলী ও আব্দুর রহমান মারা যায় এবং রায় হওয়ার পর পলাতক অবস্থায় মারা যায় আরও দুই আসামি রদ্দিন মিয়া ও আব্দুস সালাম বেগ। দুই আসামি আব্দুল খালেক তালুকদার ও কবির খাঁ এখনো পলাতক রয়েছে। আর মামলার বিচার চলাকালে কোনো হাজিরা না দিয়ে ২০১৫ সালে আব্দুল মজিদ তার নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় এসে ফকিরাপুল এলাকায় কিছুদিন আত্মগোপনে থাকে। এরপর তার আত্মীয়ের সহযোগিতায় মাদারীপুরে গিয়ে আত্মগোপন করে একটি কামিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে পলাতক জীবন শুরু করে।

র‌্যাব জানায়, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে চলমান মামলার শুনানিতে হাজিরা না দেয়ায় আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। এর পরপরই আব্দুল মজিদ প্রথমে ঢাকায়, পরে মাদারীপুরে চলে যায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে সে নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করতো। এসময় পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সে অন্যের রেজিস্ট্রেশনকৃত সীমকার্ড দিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। সে এবং তার ছেলে-মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ায় প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য তারা নিয়মিত তাকে অর্থ প্রদান করতো। আত্মগোপনে থাকাকালে সে সাধারণত জনসমাগম স্থান, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তার ব্যক্তিগত পরিচয় প্রকাশ পায় এমন স্থান এড়িয়ে চলতেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ