ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির বলছে, নব কিশোর দাসকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন পুলিশ কর্মকর্তা (সহকারী উপপরিদর্শক) গোপালকৃষ্ণ দাস মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি এক মনোরোগ–বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বেরহামপুরের এমকেসিজি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের প্রধান চন্দ্র শেখর ত্রিপাঠি সাংবাদিকদের বলেন, গোপালকৃষ্ণ বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগছিলেন। বাইপোলার ডিজঅর্ডার হলো একটি মানসিক রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মেজাজ ব্যাপক রকমে ওঠানামা (মুড সুইং) করে। তারা কখনো অতি মাত্রায় উত্তেজিত হয়ে যেতে পারেন, আবার কখনো হতাশায় ভুগতে পারেন। তবে মনোরোগ–বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াসহ বিভিন্ন চিকিৎসার মধ্য দিয়ে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ত্রিপাঠি আরও বলেন, পুলিশ সদস্য গোপালকৃষ্ণ ৮ থেকে ১০ বছর আগে তার ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। তিনি হুটহাট রেগে যেতেন, আর এ জন্য তার চিকিৎসা চলছিল।
তবে এই চিকিৎসক জানান, গোপালকৃষ্ণ নিয়মিত ওষুধ খেতেন কি না, তা আমার জানা নেই। নিয়মিত ওষুধ না খেলে এ রোগ আবার ফিরে আসতে পারে। তিনি সর্বশেষ আমার সঙ্গে দেখা করেছেন এক বছর আগে।
এ ছাড়া গোপালকৃষ্ণের স্ত্রীও বলেছেন, তার স্বামী মানসিক অসুস্থতার জন্য ওষুধ খেতেন। আমরা তার কাছ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকতাম। সে কারণে আমি বলতে পারছি না সে নিয়মিত ওষুধ খেত কি না।
Leave a Reply