ওড়িশার ব্রজরাজনগরের এসডিপিও গুপ্তেশ্বর ভয় জানিয়েছেন, রোববার সকালে ওড়িশার ঝাড়সুগুড়া জেলার ব্রজরাজনগরে গান্ধী চকের কাছে এই কাণ্ড ঘটেছে। ঝাড়সুগুড়ায় একটি অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। তখনই তাকে লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি চালান অ্য়সিস্টান্ট সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার গোপাল দাস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গুলি লাগার পরেই গুরুতর আহত অবস্থায় কাছের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় নবকিশোরকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঝাড়সুগুড়া বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বিমানে করে ভুবনেশ্বরের এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, যখন মন্ত্রী গাড়ি থেকে নামেন, তখন তাকে স্বাগত জানানোর জন্য লোকজন জড়ো হন। ভিড়ের মধ্যে থেকেই গুলির শব্দ শোনা যায়। তার পরেই এক পুলিশ কর্মীকে ছুটে পালাতে দেখি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গুলি করার সময় পুলিশের পোষাকেই ছিলেন গোপাল। তিনি কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, এখনও জানা যায়নি। রোববার ব্রজরাজনগরের এই কর্মসূচিতে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন ছিল। তাতে নজর রাখার জন্যই গোপালকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে, মন্ত্রীকে গুলি চালানোর ঘটনার পরেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রতিবাদে গান্ধী চকে ধর্নায় বসেছেন বিজেডি নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, এই গোটা ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল।
Leave a Reply