বুধবার দুপুরে গেন্ডারিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দক্ষিণ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন জানান, মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদে অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (গোয়েন্দা) মুহাম্মদ রিফাত হোসেনের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর সায়েদাবাদ হাজী বোরহান উদ্দিন টাওয়ার সংলগ্ন আলকারিম হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন জাহাঙ্গীর ও তার সহকারী মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে আমদানি নিষিদ্ধ ও ভয়ঙ্কর মাদক এক কেজি ৭০০ গ্রাম আইস জব্দ করা হয়।
টেকনাফ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আইস রাজধানীতে নিয়ে আসে গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর। সে আইস পাচারকারীর মূলহোতাও। পাশাপাশি সে সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাস চালকও। মূলত বাস চালানোর আড়ালে সে এসব মাদক কক্সবাজার টেকনাফ হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে। জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ও ২০২০ সাল থেকে আইস পাচারের সাথে জড়িত। আগে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবা-আইস ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার কাজ করতো। পরে নিজেই টেকনাফ থেকে ইয়াবা আইস ঢাকা এনে বিক্রির জন্য একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়েতোলে।
জাহাঙ্গীর মাদক বিক্রির কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ বার গ্রেপ্তার হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। উদ্ধারকৃত আইসের বাজার মূল্য কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply