বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার– দুটোই খুঁজে পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার হওয়ায় দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে নেপালের বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে নেপালের এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিলে তা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, পোখারায় বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের আগ মুহূর্তে ল্যান্ডিং প্যাড পরিবর্তনের অনুমতি চেয়েছিল। অনুমতি দেয়া হলেও শেষমেশ আর অবতরণ করতে পারেনি বিমানটি। তবে শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডিং প্যাড বদলের দরকার কেন হয়েছিল তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
নেপালের স্থানীয় পত্রিকা ইকান্তিপুর তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে , বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির রানওয়ে-৩০এ অবতরণের কথা ছিল। একই পাইলট ও ক্রু সমেত বিমানটি একই রানওয়েতে ওই দিন সকালবেলাতেও একবার অবতরণ করেছিল। তবে, শেষ মুহূর্তে বিমানটি রানওয়ে-১২তে অবতরণের অনুমতি চায়।
কাঠমাণ্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, সবশেষ বিমানটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পশ্চিম দিক থেকে অবতরণের মাত্র দুমিনিট আগে ট্রাফিক এয়ার কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর তার পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। স্থানীয় সময় বেলা ১০টা ৫৩ মিনিটে এটি বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল।
বিবিসি নেপালি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টন কামাল কে সি। যিনি রোববারই আরেকটি ফ্লাইট নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় গেছেন। ইয়েতি এয়ারলাইন্স বলছে, সম্প্রতি চালু হওয়া পোখারা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এর আগে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও করেছেন তিনি।
কর্মকর্তারা বলছেন যে, অবতরনের বিষয়ে বিমানবন্দর থেকে অনুমতিও পেয়েছিলেন পাইলট। তখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা ছিল না। অবতরণের জন্য ‘ক্লিয়ারেন্স’ বা অনুমতি পাওয়ার পর বিমানটি বিমানবন্দর থেকে দৃশ্যমানও হয়েছিল এবং ১০-২০ সেকেন্ডের মধ্যে সেটি রানওয়েতে পৌঁছানোর কথা ছিল।
Leave a Reply