নিজস্ব প্রতিবেদক // ২০৬ কিলোমিটার পথ বাইসাইকেল চালিয়ে সিরাজগঞ্জ বেলকুচি মসজিদ দেখে বাড়ি ফিরেছেন মাগুরার ৮১ বছরের বৃদ্ধ আবুল হোসেন শেখ।
তার বাড়ি সদর উপজেলা আঠারোখাদা ইউনিয়নের গোরস্থান পাড়া। আবুল হোসেন শেখের এমন ব্যতিক্রম ভ্রমণ ও সফলতায় বেশ খুশি ও গর্বিত এলাকাবাসী। তবে ৮১ বছরে গিয়ে আবুল হোসেনের এমন উদ্যোগে অতোটা বিস্মিত নন তারা। কারণ, এর আগেও এই বৃদ্ধ বয়সে ভ্যান চালিয়ে সহধর্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে যমুনা সেতু দেখিয়ে আনেন তিনি।
সাইকেল বা ভ্যান চালিয়ে ভ্রমণের পাশাপাশি এই বৃদ্ধ বয়সে কৃষি কাজসহ বড় বড় নারকেল গাছে উঠে ডালপালা পরিস্কার করেন। আবুল হোসেন শেখ এভাবেই বাইসাইকেলযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঐতিহাসিক মসজিদ ঘুরে দেখেন। তার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
আবুল হোসেন শেখের ছেলে লাবলু শেখ বলেন, বৃদ্ধ বয়সেও আব্বার মনের ইচ্ছাশক্তি প্রবল। যে কারণে তিনি বিভিন্ন সময় বাইসাইকেল চালিয়ে মসজিদ ও বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
৮১ বছর বয়সে আব্বার শরীর ভালো আছে। তবে তার এমন উদ্যোগকে সচেতনমহল বলছে, প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও মনোবলের প্রতিফলন। আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ্য রাখেন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
প্রতিবেশিরা জানান, যে কাজ যুবকেরা করতে ভয় পায় সেখানে আবুল চাচা অনায়াসে করে ফেলেন। তার এমন কাজ যুবকদের উৎসাহ দেয়। আল্লাহ যেন চাচাকে (আবুল হোসেন শেখ) আরও বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখেন।
আবুল হোসেন শেখের পুত্রবধূ ফরিদা বেগম বলেন, আমার শ্বশুরের ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল যুবকদের চেয়েও বেশি। এই শক্তি কাজে লাড়িয়ে এই বয়সে এমন সব অসাধ্য কাজ করেন। দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। আমরা তার এমন উদ্যোগে খুশি। আল্লাহ যেন তাকে দীর্ঘজীবী করেন। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
আবুল হোসেন শেখ বলেন, আমার বয়স এখন ৮১ বছর। সম্প্রতি বাইসাইকেল চালিয়ে ২০৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সিরাগঞ্জ বেলকুচি মসজিদ দেখতে গিয়েছিলাম।
কেন ওই মসজিদ দেখতে গেলেন প্রশ্নে তিনি বলেন, আঠারোখাদা গ্রাম থেকে কয়েকজনের একটি দল বেলকুচি মসজিদ দেখতে গিয়েছিল। তারা আমাকে নেয়নি। তাই ভোররাতে বাড়ি থেকে সাইকেল ও জামা কাপড় নিয়ে বের হয়ে পড়ি। সিরাজগঞ্জ বেলকুচি মসজিদ দর্শনের পর বাসযোগে বাড়ি ফিরি। তিনি বলেন, আগামীতে এভাবে বসাইকেল চালিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে মসজদি দেখব।
Leave a Reply