অনলাইন ডেস্ক
বরিশালে তুচ্ছ ঘটনায় এক শোরুমের মালিকসহ ৫ জনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত ২ জানুয়ারী রাত সাড়ে নয়টায় নগরীর বগুরা রোডস্থ মুন্সি গ্যারেজের যমুনা শোরুমের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, বগুরা রোডস্থ যমুনা শোরুমের মালিক শামিমুল হক , ম্যানেজার তাহের উদ্দিন, একই শোরুমের স্টাফ রেজাউল করিম বিপ্লব, রেনেজা আক্তার সেতু , চঞ্চল। এদিকে আহতদের মধ্যে গুরুত্বর শামিমুক হককে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শোরুমের ম্যানেজার তাহের উদ্দিন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি নগরীর বগুরা রোডস্থ মুন্সি গ্যারেজের যমুনা শোরুমের ম্যানেজার পদে কর্মরত রয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে গত ৪ দিন পুর্বে মার্সেল কোম্পানির একটি ওভেন ক্রয় করে একই ওয়ার্ডের মৃতঃ আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মোঃ জামাল কবির। হঠাৎ ক্রয়কৃত ওভেনটিতে সমস্যার কথা বলে ফেরতও দিয়ে যান তিনি। ওভেনটির সমস্যার বিষয়ে আলোচনার জন্য জামালকে আমাদের শোরুমে ডাকা হয়। গত ২ তারিখে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি আসলে আলোচনার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জামাল আমাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তিনি শোরুম থেকে বের হয়ে ডাক চিৎকারে লোকজন জড়ো করে।
এসময় শোরুমের মালিক শামিমুল হক তাকে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা করলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে যান। একপর্যায়ে তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে শামিমুল হকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এছাড়া কিল-ঘুষি মেরে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। এদিকে আমিসহ শোরুমের স্টাফ রেজাউল করিম বিপ্লব, রেনেজা আক্তার সেতু , চঞ্চলকেও মারধর করে তারা।
এসময় শামীমুল হকের পরিহিত পোশাক খুলে নিয়ে যায় জামাল ও তার সহযোগীরা। ঐ পোশাকের পকেটে শোরুমের পণ্য বিক্রয়ের ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৪১ টাকা রক্ষিত ছিল । মারধরের একপর্যায়ে জামাল ও তার সহযোগীরা খুনের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে জামাল কবিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিমুল করিম জানান, অবগত রয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply