নিজস্ব প্রতিবেদক // বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে। আত্মহত্যা করেননি এই অভিনেতা! খুন করা হয়েছিল তাকে।
মৃত্যুর ২৮ মাস পর সম্প্রতি মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালের মর্গের কর্মী রূপকুমার শাহ এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন। এই হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত হয়েছিল সুশান্তের।
মর্গের ওই কর্মীর দাবি, সুশান্তের দেহে এবং গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সে কথা তিনি জানিয়েও ছিলেন বলে দাবি রূপকুমার শাহের। কিন্তু তখন কর্তৃপক্ষ তাকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা, জিনিউজসহ একাধিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রূপকুমার শাহ বলেন, ‘সুশান্ত সিংহ রাজপুত যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন আমাদের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল।
পাঁচটির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপির। ময়নাতদন্তের কাজের সময় জানতে পারি তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুত।
তার শরীরে একাধিক এবং গলায় দু’ থেকে তিনটি দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড করার দরকার ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র দেহের ছবি তুলতে বলেন। তাদের নির্দেশ মেনেই কাজটা করেছিলাম।’
সুশান্ত খুন হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন রূপকুমার শাহ। তার দাবি, তখন কর্তৃপক্ষ তাকে ‘নীতি’ মেনে কাজ করতে বলেন।
রূপকুমার শাহের কথায়, ‘যখন সুশান্তের দেহ প্রথমবার দেখি, তখনই সিনিয়রদের বলি যে, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন হয়েছেন তিনি। আমি এ-ও বলি যে, নিয়ম মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত।
যদিও সিনিয়ররা আমায় যত দ্রুত সম্ভব দেহের ছবি তুলে পুলিশের হাতে দেহ দিয়ে দিতে বলেন। রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী লেখা হবে সেটা চিকিৎসকের কাজ। সুশান্ত সিং রাজপুতের ন্যায় পাওয়া উচিত।
যে কেউ অভিনেতার ছবি দেখে বলে দিতে পারবেন যে তাকে খুন করা হয়েছে। যদি তদন্তকারী সংস্থা আমায় যোগাযোগ করে তাহলে আমিও তাই-ই বলব।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাইয়ের আবাসন থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছিল, আত্মহত্যাই করেছেন সুশান্ত। যদিও তার পরিবার দাবি করে, খুন করা হয়েছিল অভিনেতাকে।
প্রাথমিকভাবে অভিনেতার রহস্য মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছিল মুম্বাই পুলিশ। তারপর তদন্তভার দেওয়া হয় ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এবং এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)- র হাতে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল বিভিন্ন মাদক চক্রের নামও। এমনকি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অভিনেতার বিশেষ বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও তার ভাই। পরে অবশ্য দুজনেই ছাড়া পান।
Leave a Reply