পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শাহ আলম দেওয়ান, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ ও সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদসহ জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতা কর্মীকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬টি ককটেল, রড, লাঠিসোঠা, ৬টি মোটরসাইকেল, ৬টি সাইকেল ও কর্মসূচির ব্যানার উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শাহ আলম দেওয়ান, জামায়াত নেতা নাহিদুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, শিবির কর্মী মারুফ, মেহেদী হাসান, মেশকাত শরীফ, সোহরাব আলী, মেসি ড্রাইভার শিপন ও নুর নবী।
আহত তিন পুলিশ সদস্যরা হলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই মাহমুদ। তাদের আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়াও জেলা জামায়াতের আমির ফজলুর রহমান সাঈদ ও পাঁচবিবি উপজেলা উপজেলা জামায়াতের সভাপতি ইমরান হোসেনসহ অজ্ঞাত ৬০/৭০ জন নেতাকর্মী পলাতক রয়েছে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, শনিবার ভোরে সদর উপজেলার বামনপুর-সগুনা এলাকায় জামায়াত-শিবিরের ৭০/৮০ নেতাকর্মীরা মিছিল করছিলো। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একইসাথে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬টি ককটেল, রড, লাঠিসোঠা, ৬টি মোটরসাইকেল, ৬টি সাইকেল ও কর্মসূচির ব্যানার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply