ইতোমধ্যে তিনদিন পার হলেও বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার বা শনাক্ত করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে অপহৃতদের পরিবারে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অপহৃত হওয়া তরুণরা হলেন, জাহাজপুরা এলাকার রশিদ আহমেদের ছেলে আবছার উদ্দিন, ছৈয়দ আমিরের ছেলে নুরুল মোস্তাফা, করিম উল্লাহনুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ উল্লাহ, সেলিম উল্লাহ, রিদুওয়ান, নুরুল হক।
জানা গেছে, গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে বাহার ছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুরা এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় মাছ ধরতে যান তারা। সেখান থেকে অপহরণের শিকার হন তারা। তখন থেকে মুক্তিপণ না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
অপহৃত করিম উল্লাহ ও নুরুল মোস্তফার বড়ভাই মো. আলী জানান, অপহরণকারীরা প্রথমে জনপ্রতি তিন লাখের বেশি মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। সর্বশেষ সকালে ওই দুই অপহৃতের মুক্তি দিতে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু নানা কষ্টে টাকাও যোগাড় করা হয়েছে। কিন্তু তারা আর যোগাযোগ করছে না। এতে তারা ভীষণ ভয়ে আছে বলে জানান।
স্থানীয়রা জানান, অপহৃতের মধ্যে একজন কলেজ পড়ুয়া। অনেকে কৃষি কাজ করে ও কয়েকজন বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শখের বসে মাছ ধরতে গেলে অপহরণকারীদের কবলে পড়েন তারা।
বাহার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, আটজনকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এখনও তাদের কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও জানান, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এর আগেও বিভিন্ন সময় অপহরণের শিকার হয়েছে এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে উদ্ধারে জোর দাবি জানান তিনি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের পর থেকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকেও পাহাড়ে অভিযান করা হয়েছে।
Leave a Reply