শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৪ হাজার ৫টি বিভিন্ন পিলারে এক সময় পাকিস্তানের সংক্ষিপ্ত পাক লেখা ছিল। পরে বিজিবি সেটা পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ও বিডি নাম লিখেছে। কিন্তু এটা করতে দীর্ঘদিন সময় লাগা অত্যন্ত দুঃখজনক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে আমাদের সংবিধান সংশোধন করে সীমানা ঠিক করে দিয়ে গিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো তখনো ভারতের সঙ্গে আমাদের ছিটমহল বিনিময় হয়নি। ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা কখনো আমাদের এই সীমান্ত রেখা সুনির্দিষ্ট করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর আমরা এই উদ্যোগ নিই। দ্বিতীয়বার আমরা ক্ষমতায় আসলে আমাদের উদ্যোগে ভারতের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে আইন পাস করে সীমান্তরেখা সুনিদির্ষ্ট করা হয়েছে। এটা আমাদের বিরাট অর্জন।’
বিজিবির উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান রোধ; মাদক, নারী ও শিশু পাচার আন্তর্জাতিক অপরাধ দমনসহ সীমান্তবর্তী জনগণের জানমাল রক্ষা আপনাদের দায়িত্ব। আপনারা এসব দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। আমরা অত্যন্ত উৎসবমুখরভাবে ছিটমহল বিনিময় করেছি যা বিশ্বের অন্য কোনো দেশ করতে পারেনি। এক্ষেত্রে আমাদের বর্ডার গার্ড অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে।’
এর আগে সকাল ১০টায় রাজধানীর বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে যান শেখ হাসিনা। সেখানে বিজিবি কর্মকর্তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন। বিজিবিকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১’ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply