বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে তাদের পক্ষে আইনজীবীরা এ রিটটি দায়ের করেন। বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পাঁচ নেতা হলেন: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচবি খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন এবং বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন খান।
এদিন সকালে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও মির্জা আব্বাসের সঙ্গে আরও পাঁচজনের পক্ষে কারাগারে ডিভিশন সুবিধা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করেন। পরে ওই আবেদন শুনে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কারাগারে ডিভিশন চেয়ে ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। মির্জা ফখরুলের পক্ষে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস রিটটি দায়ের করেন।
এ বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, মঙ্গলবার থেকে তাদের প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দেয়া হচ্ছে।
পরে ডিভিশন দেয়ার বিষয়টি লিখিত আকারে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দাখিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলটির শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটক নেতাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলও ছিলেন।
Leave a Reply