প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ করে লাঠি হাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন অন্তত ৩০০ চীনা সেনা।
পিটিআই জানিয়েছে, চীনা সেনারা ১৭ হাজার ফুট উচ্চ একটি চূড়ার শীর্ষে ওঠার চেষ্টা করে। একটি ভারতীয় সেনা পোস্টও উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন পিএলএর জওয়ানরা। কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি, হাতাহাতি ও লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান আহত হন। গুয়াহাটিতে তাদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় চীনা সেনাদেরও অনেকে আহত হন। পিটিআই জানিয়েছে, আহত চীনা সেনার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তবে গালওয়ানের মতোই তাওয়াংয়ে দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনো পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। কিছু সময় সংঘর্ষ চলার পর দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পেছানো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে একমত হয়।
২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চীনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। বিভিন্ন পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহত চীনা সেনাদের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। যদিও বেইজিং-এর পক্ষ থেকে তা কখনও স্বীকার করা হয়নি।
Leave a Reply