বুধবার সকালে ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
রেশমার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলা সদরের পারনগাঁও গ্রামে। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ঢাকা উদ্যানে বসবাস করেন। গত বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে শেরেবাংলা নগর থানার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ রিফাত হোসেনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল রেশমার গতিরোধ করে। তার কাছে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে তল্লাশি করে ১০০ পুরিয়া হেরোইন পাওয়া যায়। এর পরই তাকে গ্রেপ্তার এবং মাদক বহনে ব্যবহৃত তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাত পৌনে ১টায় তার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন ডিএনসির গোয়েন্দা কার্যালয়ের এসআই ইকবাল আহমেদ দীপু।
রাতে রেশমাকে গেণ্ডারিয়ায় বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়। গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী উপপরিদর্শক রোবিনা আক্তার ও সিপাই আব্দুর রহমানের হেফাজতে রাখা হয়েছিল তাকে। বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকে পালিয়ে যান রেশমা।
আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সহকারী উপপরিদর্শক রোবিনা আক্তার বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার গেণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন। এজাহারে বলা হয়েছে, ভোর ৫টায় ভ্যাসলিন সদৃশ পদার্থ রোবিনা আক্তারের চোখেমুখে লাগিয়ে দেন রেশমা। এতে তিনি অচেতন হয়ে গেলে আসামি পালিয়ে যায়।
Leave a Reply