গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক খান জানান, বুধবার সকাল ৭টা থেকে ওই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তারা মাসিক টিকিট পুনরায় চালুকরণ, জয়দেবপুর ও টঙ্গী জংশনসহ তেজগাঁও স্টেশনে আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি, তুরাগ ও টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের বগি বৃদ্ধি, ট্রেনের আসন বৃদ্ধি, ডিসেম্বর ২০২২ এর মধ্যে জয়দেবপুর-টঙ্গী ডাবল লাইন ও গাজীপুর-ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চালু, জয়দেবপুর স্টেশনের উন্নয়ন এবং রেলগেটের সমস্যা দূরীকরণসহ নানা দাবিতে ওই সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ রেলপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
তাদের দাবি ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার গাজীপুর মহানগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জয়দেবপুর স্টেশনের ন্যূনতম উন্নয়ন না হওয়া, আন্তঃনগর নয়টি ট্রেন স্টপেজ না দেয়া এবং টিকেট সল্পতার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ দিন দিন প্রকট হচ্ছে। সমস্যাগুলো সমাধানে দীর্ঘদিন যাবত রেল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রেলপথ মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে একাধিক বার আলোচনা হয়। প্রতিবারই সমাধানের আশ্বাস প্রদান করা হলেও এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় জয়দেবপুর স্টেশনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়া হয়েছে। এই অবস্থান কর্মসূচিতে তারা ১০টি দাবি তুলে ধরেছেন। সকাল ৮টার দিকে তাদের অবস্থান কর্মসূচি শেষ হয়।
জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা থেকে আটটা পর্যন্ত ঘণ্টা খানেক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় তারা জয়দেবপুর স্টেশনে থাকা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও আউটার সিগন্যালে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ২টি ট্রেন এক ঘণ্টা আটকে রাখেন । এতে স্টেশনের দুই পাশে বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে।
গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন সংগঠনের উদ্যোগে সকালে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হক খানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গ কল্যাণ সমিতি ও পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদ নামে আরও দুটি সংগঠন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেন বক্তারা।
Leave a Reply