ভোলার সঙ্গে অন্যান্য জেলার যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম নৌ-পথ। কিন্তু ধর্মঘটে লঞ্চ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-ঢাকা রুটসহ অভ্যন্তরীণ রুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে জেলার নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ।
নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা শেখ আবুল হাসেম বলেন, ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি হলো-নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ।
এ ছাড়া ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সব ধরনের হয়রানি বন্ধ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০% কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
Leave a Reply