নিজস্ব প্রতিবেদক // মুলাদী পৌরসভা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খানের ছেলে সাংবাদিক বরিশাল জেলা সম্মিলিত সাংবাদিক পরিষদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের (রিমন)’র মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখমের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মুলাদী থানার ওসি এস.এম মাকসুদুর রহমান। হালার ৭ দিন হলেও গ্রোপ্তার হয়নি কেউ।
হামলায় গুরুতর আহত এনায়েতকে মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শেবামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনায়েত হোসেন বলেন, ২১ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় মুলাদী বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিলাম।
এসময় মোটরসাইকেল থামিয়ে মুখমণ্ডল কাপড় দিয়ে পেচানো এক যুবক প্রথমে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। পরে অন্য সন্ত্রাসীরা তাকেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সাংবাদিক এনায়েত সন্ত্রাসী সাকিন রাড়ি, অনিক রাড়ি,সাইফুল বেপারি, সোহেল রাড়ি,আদনান রাড়ি, মনির সরদার, তানভীর রাড়ি,অভি,রোটন,মিজান দেওয়ান,জাকির গাজী, ইউসুফ খান, কাওসার মোল্লা, লিঙ্কন হাওলাদার, সাহাদতসহ আরো ৪/৫ জন যুবকে চিনতে পেরেছে। হামলার একপর্যায়ে তাকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। মুলাদী থানার ওসি এস.এম মাকসুদুর রহমান জানান মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
সাংবাদিক এনায়েত হোসেন কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃর্ণমূল সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন সম্মিলিতি সাংবাদিক পরিষদ-এসএসপি। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম সামসুল আলম নিক্সন ও সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন জুয়েল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যারা সাংবাদিক এনায়েতকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এই হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা নথিভুক্ত করে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা না হলে সারাদেশে তৃণমূলের সাংবাদিকেরা কঠোর আন্দোলনে ডাক দেওয়া হবে।
Leave a Reply