বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে উরুমকিতে একটি বহুতল ভবনে আগুন লেগে ১০ জন মারা যাওয়ার পরে বিক্ষোভটি শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিল্ডিংয়ের বাসিন্দারা ভবনের নীচে যেতে সক্ষম হয়েছিল, কিন্তু লকডাউনের ফলে ভবনটি প্রবেশদ্বার তালাবদ্ধ থাকায় বাসিন্দারা সময়মতো বের হতে পারেনি। যদিও উরুমকি কর্মকর্তারা এই অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। তবে তারা আরও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।
শনিবার চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও দেখা গেছে, সাংহাইয়ে কয়েক হাজার মানুষকে রাস্তায় নেমে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণ এবং কোভিড বিধিনিষিধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এসময় তারা চিৎকার করে বলেছিল, উরুমকির জন্য লকডাউন তুলে দাও, জিনজিয়াংয়ের জন্য লকডাউন তুলে দাও, সমস্ত চীনের জন্য লকডাউন তুলে দাও।
বিক্ষোভকারীদের অন্য একটি বৃহৎ দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টি বিরুদ্ধে স্লেগান দেয় ও প্রেসিডেন্ট শি জিএনপিংয়ের পদত্যাগের দাবি জানায়। যা দেশটি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একটি বিরল প্রকাশ্য প্রতিবাদে।
এছাড়াও শনিবার রাতে চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে মহামারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত টানা ৪র্থ দিনের মত রেকর্ড সংক্রমণ ধরা পড়েছে দেশটিতে। রোববার চীনের ন্যাশনাল হেলথ ব্যুরো প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার চীনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৯১ জন, যা গত দুইবছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড। গত চারদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা এভাবেই ক্রমশ বাড়ছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৩৬ হাজার ৮২ জনের কোনও উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কমিশন।
শনিবার একজনের মৃত্যুও হয়েছে করোনায়। এই নিয়ে দেশটি করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ২৩৩ জনে দাড়িয়েছে। আর করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৮০২ জনে।
চীনের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটি করোনভাইরাস উত্থানের পর থেকে সবচেয়ে জটিল এবং মারাত্মক বিরোধী মহামারী পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানী বেইজিংসহ সারাদেশে আংশিক লকডাউন, গণ কোভিড পরীক্ষা ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
Leave a Reply