সোমবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে গিয়ে আরপি চেকপোষ্টের দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে জনবলও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কারাগার এলাকা নজরদারি রাখছেন।
কাশিমপুর কারাগারের আরপি চেকপোস্ট এ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষী এম এইচ রানা বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে কাশিমপুর কারাগারে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের ব্যাপক তল্লাশি করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের নাম ঠিকানা ও লিপিবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরাও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সোয়া ছয়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্যকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাদের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে ছিনতাই হওয়া মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামিরের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামে ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামে।
ঢাকার সিজেএম আদালতের আটতলায় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম সারোয়ার খান বলেন, ‘আদালতে শুনানি শেষে এই দুজনকে হাজতখানায় নেয়ার পথে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, রোববারের ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও তারা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছেন। এছাড়া কাশিমপুর কারাগার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগার পার্ট -২ এর ডেপুটি জেল সুপার আলী আফজাল বলেন, আমাদের কারাগারে সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে রোববারের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে আরপি চেক পোস্টে পাঁচ-ছয় জন দায়িত্বে থাকলেও এখন ১০ জন নিয়োজিত করা হয়েছে। কারাগারে আসামি পাঠানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply