সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে চুক্তি সাক্ষর করে এই তিন দেশ। বলকান রুট দিয়ে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবেই মূলত এমন চুক্তি করল দেশ তিনটি।
চুক্তির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা বাড়াতে নর্থ মেসিডোনিয়া সীমান্তে গাড়ি, থার্মাল ভিশন গগলস এবং ড্রোন পাঠানো হয়েছে। তার আগে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সীমান্ত পারাপার ঠেকাতে ২০১৫-১৬ সালে সার্বিয়া সীমান্তে ধারাল বেড়া স্থাপন করেছিল হাঙ্গেরি।
বিশেজ্ঞরা বলছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভূমধ্যসাগর এবং এজিয়ান সাগর বিপজ্জনক হয়ে উঠায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা বলকান রুট ধরে ইউরোপে পোঁছানোর চেষ্টা করেছেন।
এদিকে তিন দেশের সরকারপ্রধান অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ইউরাপিয়ান ইউনিয়নের পদক্ষেপের সমালোচনা করেন। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ইউরাপিয় ইউনিয়নের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এখন এমন একটি অবস্থায় পৌঁছেছি, ইউনিয়নের আশ্রয়কাঠামোর বাইরে গিয়ে ইউরোপের দেশগুলো আলাদা আলাদাভাবে জোট করার প্রয়োজন বোধ করছে।’
নিজের দেশের উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, ‘চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অস্ট্রিয়াতে আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা হবে আনুমানিক এক লাখ। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার।’
দেশ তিনটির দাবি, পশ্চিম বলকান রুট ধরে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ মূলত তাদেরকে সামলাতে হয়। তুরস্ক, বুলগেরিয়া এবং মেসিডোনিয়া থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সার্বিয়ায় প্রবেশ করেন।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুচিচ বলেন, ‘উত্তর মেসিডোনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করতে। এতে ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ আমাদের নিজেদের দেশগুলো বাঁচবে।
Leave a Reply