বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত। কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণাকালে আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মার্চ শিশু শিমু আক্তারকে (১০) ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানাবে বললে আসামিরা ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে শিমুকে হত্যা করে। এ ঘটনায় শিমুর বাবা সাইদুল হক বাদী হয়ে আমির হামজা ও বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জামির উদ্দিন জিয়া জানান, আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের টার্গেট ছিল শিমুর বড় বোন শারমিন আক্তারকে ধর্ষণ করা। কিন্তু ঘটনার দিন শারমিনকে না পেয়ে শিমুকে ধর্ষণ শেষে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে রেখে দেয়।
রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শিমুর বাবা সাইদুল হক বলেন,‘দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মেয়ের খুনিদের বিচার পেয়েছি। এখন রায় কার্যকর হলে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।
Leave a Reply