প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মীরা নামে ভারতপুরের ওই নারী শরীরচর্চার শিক্ষক ছিলেন। তিনি কল্পনা ফৌজদার নামে তার এক ছাত্রীর প্রেমে পড়েন। শেষমেশ কল্পনাকে বিয়ে করার জন্য অপারেশনের মাধ্যমে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছেন।
মীরা এখন নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন আরভ কুন্তাল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভালোবাসায় সবকিছু ন্যায়সঙ্গত, তাই আমি আমার লিঙ্গ পরিবর্তন করেছি।
স্কুলে শারীরিক শিক্ষার ক্লাসে কল্পনার সঙ্গে দেখা হয় মীরার। কল্পনা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কাবাডি খেলেন এবং আগামী জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে খেলতে দুবাই যাওয়ার কথা আছে কল্পনার।
স্কুলের মাঠে আলাপকালে আরভ কল্পনার প্রেমে পড়েন বলে জানান। সেইসঙ্গে তিনি সবসময় একজন ছেলে হতে চাইতেন। আরভ বলেন, আমি মেয়ে হিসেবে জন্ম নিয়েছি কিন্তু সবসময় নিজেকে ছেলে ভাবতাম। আমি সবসময় আমার লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করতে চেয়েছিলাম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আমার প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কল্পনাও অনেক দিন থেকে আরভের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন বলে জানান। এমনকি আরভের লিঙ্গ পরিবর্তনের আগেও কল্পনা তাকে বিয়ে করতে চাইতেন।
কল্পনা বলেন, শুরু থেকেই আমি তাকে ভালবাসতাম। এমনকি সে যখন সার্জারি করেনি, তখনই আমি তাকে বিয়ে করতে চাইতাম। তার সার্জারির সময় আমি একসঙ্গে যাই। ভারতে যদিও এমন বিয়ে বিরল, তবুও তাদের বাবা-মা মেনে নিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
Leave a Reply