1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।

মসজিদে আজান হলে শান্তির বাজার ফাঁকা হয়ে যায়, ছবি ভাইরাল

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৮ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // সূর্য ডুবেছে। মসজিদে মাগরিবের আজান শেষ হলো। দোকানদাররা দোকান সাজিয়ে বাতি জ্বালিয়ে চলে গেলেন মসজিদে।

প্রতিটি দোকানের একই অবস্থা। সাজানো-গুছানো পুরো সবজি বাজার ফাঁকা পড়ে রইল। এমন অভাবনীয় দৃশ্য দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের শান্তির বাজারের।

গত শুক্রবার মাগরিবের সময়ে তোলা এমন একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন পোস্টের কমেন্টবক্সে। নামাজের সময় বাজারের এমন অভূতপূর্ব দৃশ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মন কেড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফ হোসেন বলেন, মাগরিবের নামাজ পড়তে সেই সবজি বাজার হয়ে পাশের মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়তে যাই আমি।

এমন দৃশ্য প্রতিদিনের হলেও হঠাৎ বিষয়টা আমার নজরে আসে এবং সেই মুর্হর্তের কিছু ছবি ফেসবুকে আপলোড করি। কিন্তু ভাবতে পারিনি এত দ্রুত এভাবে ছবিগুলো ভাইরাল হবে।

সবজি কিনতে আসা স্থানীয় একজন ক্রেতা আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, আমি সবজি কিনতে এই শান্তির বাজারে নিয়মিত আসি। কাঁচা বাজার কিনতে এসে প্রায় সময়ে মসজিদে মাগরিবের আযান হয়ে যায়।

সে সময় আমি অনেক সময়ে খেয়াল করেছি এই সবজি বাজারে মাগরিবের নামাজের সময় ফাঁকা থাকে। বিক্রেতারা সবাই এক সঙ্গে নামাজে যায়। তাই বাজারে ভেতরে আর কোনো ক্রেতা প্রবেশ করে না।

ওই এলাকার ইউপি সদস্য আশিকুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এই বাজারটি অনেক ছোট । এখানে একটি ছোট দোতলা মসজিদ আছে।

এই বাজারের অধিকাংশ মানুষ নামাজ পড়ে। আমার জানামতে সবজি বাজারের বিক্রেতারা সবাই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন। তাই মাগরিবের নামাজের সময় অল্প হওয়ায় নামাজের সময় ফাঁকা হয়ে যায় সবজি বাজারটি।

কাঁচা বাজারের ভেতরে চা ব্যবসায়ী মো. আনিছুর রহমান জানান, নামাজের সময়ে আমিও দোকান খোলা রেখেই নামাজে যাই। সে সময় কোনো বিক্রেতাই থাকে না।

সবজি বিক্রেতা মো. হামিদুল ইসলাম, দুলাল ইসলাম ,সইদুল ইসলাম,মইনুদ্দিন ইসলামসহ আরো অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এ বাজারটি মসজিদের জায়গায় অবস্থিত। আমাদের প্রতিটি বিক্রেতাদের দোকানের ভাড়া মসজিদ কমিটিকে দেই।

যা মসজিদ উন্নয়নের ব্যবহার করা হয়। নামাজ পড়া নিয়ে এখানে কোনো জোর জবরদস্তি নেই। নিজে থেকেই সবাই আমরা নামাজ পড়ি। আর মাগরিবের ওয়াক্ত খুব অল্প সময়ে শেষ হয় বলে আমরা এক সঙ্গে সবাই নামাজে যাই।

সেখানকার মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, শান্তির বাজার একটি মসজিদ ভিত্তিক বাজার। তাই এখানে মোটামুটি সব ব্যবসায়ী নামাজ পড়েন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ