গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল মমিন, মো. রবিউল ইসলাম ওরফে রবি, মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ, মো. সাব্বির, মো. চাঁন মোল্লা এবং আরিফুল ইসলাম।
রোববার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম। তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি সিম ও হ্যাকিং কাজে ব্যবহৃত একাধিক ইমো আইডি জব্দ করা হয়।
সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ৯ অক্টোবর কাতার প্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বাংলাদেশে তার ভাইয়ের কাছে থেকে তিন দফায় ৬৫ হাজার টাকা নেয় একটি চক্র। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী ডিবি পুলিশের সহায়তা নেন। গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এরা মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের ইমো অ্যাকাউন্ট টার্গেট করে হ্যাংকিংয়ের ফাঁদ পাতে। পরে দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজনের ইমো নাম্বারে অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার কথা বলে মোটা অংকের টাকা চায়। এভাবে ৫০ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর কীভাবে হ্যাকিং করতে হয়, কীভাবে মানুষকে মিষ্টি কথায় ভোলাতে হয় সে বিষয়ে তারা ট্রেনিং নিয়ে থাকে। তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ও অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন এবং নিজের পিন, ওটিপি নাম্বার কাউকে না দেয়ার পরামর্শ দিয়ে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কেউ এমন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়লে ডিবি পুলিশকে অবহিত করার আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply