ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ি পাড়া, ওয়াকার গঞ্জ, টোপামারি এলাকার কয়েকটি বাড়িতে কয়েকদিন ধরে চুরি যাচ্ছিল। প্রতিটি বাড়ি থেকে টাকা কিংবা সোনাদানাসহ অন্যান্য জিনিস তেমনভাবে চুরি না হলেও চুরি হয় বাড়ির দলিল, বার্থ সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যানকার্ড, আধার কার্ড সহ অন্যান্য মূল্যবান তথ্য।
অদ্ভুতভাবে চুরির পরদিন ওই বাড়িগুলিতে একটি করে চিঠি আসতে থাকে। খামে ভরা সেই চিঠিতে কাউকে ১ লাখ, কাউকে ২ লাখ টাকা চেয়ে দাবি করে চিঠি পাঠায় চোর। চিঠিতে চোর লেখে ‘আপনার হারিয়ে যাওয়া ডকুমেন্টস ফেরত পেতে চাইলে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে যেই নতুন ব্রিজ আছে সেখানে একটি কুল গাছ রয়েছে। সেখানে একটি ব্যাগে আপনার ডকুমেন্টস রাখা আছে। আপনি টাকা নিয়ে চলে আসুন। কোনও রকম চালাকি করলে ঝামেলায় পড়বেন।’
চিঠি পাওয়ার পর বাড়ির লোকেরা সেখানকার কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিনব চুরির ঘটনায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ। এরপর তদন্তের ভার পরে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশের ওপর।
দায়িত্ব পেয়ে টিম গঠন করে তদন্তে নামে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার টাউন বাবু অরিজিৎ কুণ্ডু। এরপর সূত্র ধরে চোরকে গ্রপ্তার করে সাদা পোশাকের পুলিশের দল। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার টাউন বাবু অরিজিৎ কুণ্ডু বলেন, ‘তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি নির্দিষ্ট একজন টোটো চালকের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রথমে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চোরের নাম জানতে পারি। এরপর আমরা অভিযান চালিয়ে সুদীপ রায় নামে যুবককে গ্রেপ্তার করি। তাকে জেরা করলে সব স্বীকার করে সুদীপ। খুব প্ল্যান মাফিক ঠান্ডা মাথায় এই কাজ করেছে।’
ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানান, ‘সুদীপ রায় একজন দাগী চোর। তার বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই অভিনব কায়দায় চুরি করা শুরু করেছিল। আমাদের দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি।
Leave a Reply