1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
জিয়াউদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখরিত রুপাতলী এলাকা, মিষ্টি বিতরণ বরিশাল মহানগর/ এক নাসরিনে বিব্রত বিএনপি ! এআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণসভা ছাত্রীনিবাসে নগর বিএনপি’র নাসরিনের প্রভাব বিস্তারে সেনাবাহীনির কাছে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের ! বরিশালে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস উদযাপন বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানসহ দুইজনের আইডি হ্যাকড, থানায় জিডি উজ্জীবিত বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, জিয়াউদ্দিন সিকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা উজ্জীবিত বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, জিয়াউদ্দিন সিকদারকে ফুলেল শুভেচ্ছা অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ‘বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সদস্যরা সাবেক কাউন্সিলরের নিজস্ব কার্যালয় দখল, বিএনপি’র ইউনিট কার্যালয় স্থাপন

পানিতে ৩ দিন ধরে ভাসছে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়ক

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২
  • ১১৫ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক // ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ ভর করে রোববার শেষ রাত থেকে সোমবার সন্ধা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে ৯০ ভাগ এলাকাই প্লাবিত হবার ৩দিন পরেও বরিশাল মহানগরীর অনেক এলাকা এখনো ভাসছে। নগরীর ৫ লক্ষাধিক মানুষের কষ্টের সীমা নেই। এমনকি অনেক পরিবারে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও তাদের কোন স্বস্তি নেই। গত কয়েক দিন ধরে নগরীর বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষগুলোর দূর্ভোগ সব বর্ণনার বাইরে চলে গেছে। রোববার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হোটেল সহ কিছুটা নিরাপদ আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া মানুষগুলো ঘরে ফিরলেও অনেকের আঙিনাই এখনো পানিতে ঘিরে আছে। অনেক পরিবারই ঘরের শৌচাগারগুলো পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারছেন না ।

নগরীর প্রায় দেড়শ কিলোমিটার ড্রেনের পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা অনেক আগে থেকেই ভঙ্গুর। এর সাথে নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সামান্য বেশী বৃষ্টি হলেই নগরীর বিভিন্ন এলাকা পানির তলায় চলে যাচ্ছে। সেখানে সিত্রাং-এ ভর করে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত গোটা নগরীকে আরেক দফা ডুবিয়ে দিলেও দূর্যোগ কেটে যাবার ৩দিন পরেও নগরীর বেশীরভাগ এলাকাই ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে। নগরভবন থেকে অবশ্য রোববার দিনভরই চেষ্টা করা হয়েছে পঃয় নিস্কাশন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে। সোমবার সকাল থেকেও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করলেও দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভ’ত জঞ্জাল সরিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি। অথচ নদ-নদীর পানি মঙ্গলবার বিকেল থেকেই কমতে শুরু করলেও এ নগরী সম্পূর্ণ প্লাবন মূক্ত হতে আরো কতদিন লাগবে তা এখন নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। মহানগরীর পাশে প্রবাহমান কির্তনখোলা নদীর পানি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায়ই বিপদ সীমার নিচে ছিল। বুধবার তা আরো কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

অর্থের অভাবে এ নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে গত কয়েক বছরে নগরভবন থেকে কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে নগরীর ২৪টি খাল খননে প্রায় ২২শ কোটি টাকার বিশাল একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি মন্ত্রনালয়ে পেস করা হলেও এখনো তাতে সবুজ সংকেত মেলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের একটি সূত্রে মতে, ‘বর্তমান বৈশি^ক ও জাতীয় আর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দুরের কথা, স্বাভাবাবিক সময়েও সরকার বরিশাল মহানগরীর ২৪টি খাল খননে ২২শ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করবে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। উপরন্তু এ সংক্রান্ত ডিপিপি আরো একবার দাখিলের পরে ‘ব্যায় সংকোচন করে দাখিলের পরামর্শ’ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা দ্বিগুন করে দাখিল করা হয়েছে। ফলে পরিকল্পনা কমিশন বিষয়টি কিভাবে নেবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি মন্ত্রনালয়।

অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড নগরীতে তাদের ১০টি খাল খনন সহ সৌন্দর্য বর্ধনে ১০ কোটি ৭৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র গ্রহন ও মূল্যায়ন শেষ করলেও নগর ভবনের আপত্তির কারেণে ঠিাকাদারকে কার্যাদেশ প্রদানের বিষয়টি আটকে আছে। অথচ আগামী জুনেরর মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে অর্থ ফেরত যাবার সম্ভবনা রয়েছে।

এদিকে নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের জনবলের কিছুটা ঘাটতির পাশাপাশি কর্মরতদের কাজের প্রতি আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অনেক পরিচ্ছন্ন কর্মী নগর ভবনের দিক নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরন করে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন বিবেচনায় চাকুরী পাওয়া এসব পরিচ্ছন্ন কর্মীর অনেকই ওয়ার্ডের সুপারভাইজারদের নির্দেশনা পালনেও অনিহা প্রকাশ করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

নগরীর সরকারী হাতেম আলী কলেজের লেকটির পয়ঃনিস্কাশনে নবগ্রাম রোড ও রাজকুমার ঘোষ রোডের সংযোগ স্থলে মাত্র ৬৫ ফুট দৈর্ঘ ড্রেনটি নিয়মিত পরিস্কার না করায় লেকের পানি আটকে অছে। রোববার সিত্রাং-এর বয়ে আনা প্রবল বর্ষণে লেকটির পানি উপচে আসেপাশের বাড়ি ঘরকে সয়লাব করে দেয়। অথচ বিষয়টি রোববার দুপুরেই নগরভবনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে অবহিত করেন স্থানীয় বাসিন্দাগন। কিন্তু সোমবার দুপুরের আগে ঐ ড্রেনের বর্জ্য অপসারন করে লেকের পানি অপসারন শুরু হয়নি। ফলে কলেজের লেকের পানি অপসারনে আরো অন্তত দুদিন সময় লাগবে।
এভাবেই নগর ভবনের কতিপয় কর্মীর উদাশীনতা, অবহেলা আর নগরবাসীর প্রতি প্রজাসুলভ আচরনে অন্য অনেক কিছুর মত এ নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থাও জনকল্যানে আসছে না বলে অভিযোগ সাধারন মানুষের।

এ নগরীর সুসশীল সমাজ ও সচেতন নাগরিক সমাজ সহ নাগরিক অধিকার সংরক্ষনে কাজ করা সংগঠনের নেতৃবন্দ নগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্টির পাশাপশি হতাশা ও নিরাশার কথা বললেও তা প্রকাশ্যে আনতে চাচ্ছেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তেই এসব নেতৃবৃন্দ মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা সহ নাগরিক সুবিধা সমুহ অবিলম্বে নিশ্চিত করারও দাবী জানিয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ