দেশটির পুলিশ সূত্রের খবর, দিল্লির জিটিবি এনক্লেভ থেকে সেলস ট্যাক্সের ওই এজেন্টকে অপহরণ করেন তিন কনস্টেবল। এই কাজে তাদের সহযোগিতা করেন গৌরব নামে এক দুষ্কৃতি। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই এজেন্টের কাছ থেকে দেড় লাখ রুপি মুক্তিপণও আদায় করেন তারা। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জিটিবি এনক্লেভে পরিবারকে নিয়ে থাকেন ওই এজেন্ট। গত ১১ অক্টোবর কাজ থেকে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এজেন্টের দাবি, শহদারা উড়ালপুল পার করতেই সাদা রঙের একটি গাড়ি ওভারটেক করে তার পথ আটকায়। কেন পথ আটকানো হচ্ছে, এ কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিন ব্যক্তি গাড়ি থেকে নামেন এবং তাকে মারধর শুরু করেন।
ওই এজেন্টের আরও দাবি, মারধরের পর সাদা রঙের ওই গাড়িতে জোর করে তুলে নিয়ে যান। তিন জনের মধ্যে এক জন এজেন্টের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ৩৫ হাজার রুপি ছিনিয়ে নেন। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ রুপি দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। যদি সেই অর্থ দিতে না পারেন, তাহলে আটকে রেখে দেওয়ারও হুমকি দেন অপহরণকারীরা।
এজেন্ট আরও দাবি করেন, তাকে শহদরা জেলার স্পেশাল স্টাফের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর মেডিকেল পরীক্ষা করানোর জন্য জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও অর্থের জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এর পর অপহরণকারীরা এজেন্টকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে ৫০ হাজার রুপি আদায় করেন। শুধু তাই নয়, আরও ৭০ হাজার রুপি এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে এক অপহরণকারীর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বাধ্য করা হয়। মোট দেড় লাখ রুপি আদায়ের পর ট্যাক্স এজেন্টকে ছেড়ে দেন অপরহণকারীরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, অপহরণ এবং মুক্তিপণের মূল ষড়যন্ত্রকারী পলাতক কনস্টেবল অমিত। দিল্লি পুলিশের ৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত তিনি। অপহরণের জন্য ওয়াহিদ নামে এক অভিযুক্তের গাড়ি ব্যবহার করা হয়। দিল্লি পুলিশের সন্দেহ, এই ঘটনায় এক সাব-ইনস্পেক্টরও জড়িত আছেন।
Leave a Reply