নিজস্ব বার্তা পরিবেশক // বরিশাল নগরীর চিহ্নিত ভুমিদস্যু সৈয়দ সাবের হোসেন বাবুর জালিয়াতি ও জমির অবৈধ কাগজপত্রাধি দিয়ে রেকর্ড তৈরির অসাধু কার্যক্রম ফাঁস হয়েছে।
জানা যায়, বাবুর জাল ও দেওয়ানী আদালতের ৮৫/২০০৯ , ০৫/২০১০, দেওয়ানী আপিল ১৩০/২০১৫ , এসিল্যান্ড আদালতের মিস কেস ৩৫ কেটি /২০০৪-০৫ , মিস কেস ৬৮ কেটি / ২০০৮-০৯( ১৫০) ধারা, মিস কেস ৯৫/২০১৬-১৭ কেসের আদেশে বাতিলকৃত ৯৩/৫১ নং টাকার মোকাদ্দমার ৬৫/৫৩ টাং ডিং তথা মিস কেস ২৩/৬৩(৫৪) ধারা , মিস কেস ৭৬২/৬২ (৫৪) ধারা মামলার আদেশ বাতিল হয়েছে। অথচ সেই বাতিলকৃত মামলার কাগজপত্র ব্যবহার করে সেটেলমেন্ট অফিস, তহশিল অফিসে অসাধু পহ্নায় জমির রেকর্ড তৈরী করেন। ইতিপূর্বে বাবুর বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জমির হেবানামা দলিল তৈরি করে নামজারি রেকর্ড করে সেই জমি বিক্রি ও জোর পুর্বক দখলের পায়াতারা চালিয়েছেন।
যা ৯৩/৫১ নং টাকার মোকদ্দমা হতে তৈরি ৬৫/৫৩ টাং ডিক্রি তথা সৃষ্ট মিস কেস ২৩/৬৩(৫৪) ধারা, ৭৬২/৬২ (৫৪) ধারা ও রাজপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্ট্রিকৃত ০৯/০৯/৭১ সালের ১০৫৫ নং হেবানামা দলিল। এদিকে অভিযুক্ত সৈয়দ সাবের হোসেন বাবু তারা বাবার কাছ থেকে মালিকানা ও দখল বিহীন ভাবে ২৬/০৬/১১ তারিখের ৭৩১৮ এবং ২০/০৬/১২ তারিখের রেজিস্ট্রিকৃত ১২১৬৪ নং হেবার ঘোষণাপত্র দলিলমুলে মালিক প্রদর্শন করে নামজারী রেকর্ড করে জোরপুর্বক দখল করার পাঁয়তারা চালালে ভোগদখলীয় জমির মালিকরা বাবুর বিরুদ্বে বরিশাল বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেন। যা বিচারাধীণও রয়েছে।
এর বাদী সুলতান, যার সি আর কেস নং ১০৫৫/১৭, হাবিবুল্লাহ যার সি আর কেস নং ৭৪০/১৮, এম এ মোতালেব যার সি আর কেস নং ১৯০ ও আলতাফ হোসেনের দায়ের করা মামলায় যার জি আর মামলা নং- ৩৯০১/১৬, সি এস আদালত। এছাড়াও অভিযুক্ত বাবুর বিরুদ্বে বিভাগীয় কমিশনার অফিস, সহকারী কমিশনার (ভুমি), দেওয়ানী , ফৌজদারী ও সেটেলমেন্ট আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। বাবুর বড় ভাই সৈয়দ সরোয়ার হোসেনও তার বিরুদ্বে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করছিলেন। যার নং- ২৩/১৯। মামলাগুলোতে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক পিবিআই ৯৩/৫১ হতে সৃষ্ট ৬৫/৫৩ টাং ডিক্রি , রাজাপুর রেজিস্ট্রি অফিসের ০৯/০৯/১৯৭১ তারিখের ১০৫৫ নং হেবানামা দলিল মিস কেস ২৩/৬৪(৫৪) ধারা , মিস কেস ৭৬২/৬২(৫৪) জাল জালিয়াতি ভাবে সৃষ্টি করে পেনাল কোর্ট ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৬ , ৪২০ ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমান পায়। এ মামলায় একাধিকবার বাবু কারাভোগও করেছেন। এরপরেও অভিযুক্তবাবু একেরপর এক মিথ্যা মামলা করে অন্যের জমি দখলের পাঁয়তারাসহ নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন।
Leave a Reply