আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলে, গত ১৩ অক্টোবর প্রত্যেক মামলায় ৭ দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। সেদিনই আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রোববার শুনানির জন্য রেখেছেন।
যে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, সংগঠনের নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচ এম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।
গত ৭ অক্টোবর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১১ অক্টোবর আদালত আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে উল্টো ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নামে এই দুটি মামলা করেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।
গত ৭ অক্টোবর বিকেলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’-এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে ছাত্রলীগ হামলা করে তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। হামলায় পরিষদের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে গিয়েও তাদের মারধর করে ছাত্রলীগ। বিকেলে মেডিকেল থেকে পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশ।
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দুটি করেছেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। মামলার বাদীরা হলেন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান।
Leave a Reply