অনলাইন ডেস্কঃ বরিশাল সদর উপজেলার জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসলামিক বক্তা মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ আজাদীর বিরুদ্বে মসজিদ দখলের অভিযোগের বিষয়ে এবার বিষয়টিকে সম্পুর্ণ অহেতুক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্নে এমন মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে বারংবারের ন্যায় দাবী করেছেন তিনি।
বিখ্যাত এই বক্তা ও স্বনামধন্য চেয়ারম্যান আজাদী জানান, রাজধানীর মাতুয়াইলে নিউটাউন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কমিটির মধ্যে অভ্যন্তরিন দ্বন্ধ রয়েছে।
ঐ মসজিদের খতিবকে নিয়োগের ক্ষেত্রেও অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কার্যক্রম সম্পন্নের অভিযোগ উঠে। আমি ঐদিন মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় আলেম ওলামার দাওয়াতে শুধু আমার সফর সঙ্গীকে নিয়ে গেছিলাম। এছাড়া যারা দাওয়াত দিয়েছিলেন তারা খতিব না আসার কথা জানিয়ে আমাকে একদিনের জন্য নামাজ পড়াতে অনুরোধ জানান।
এছাড়া আমার সাথে পরবর্তীতে ঐ মসজিদের খতিব আবুল কালাম আজাদ বাশারের কথাও হয়েছে। শুধুমাত্র দাওয়াত প্রাপ্ত হয়ে আমি সেখানে যাই। অথচ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও অহেতুক হয়রানীর জন্য একটি মহল বিভ্রান্তিমুলক তথ্য দিয়ে সংবাদও প্রকাশ করায়। বিষয়টি নিয়ে আমি চরম বিব্রত। এছাড়া আমার বিরুদ্বে ২/৩ শত ছাত্র নিয়ে মসজিদ দখলের অভিযোগ আনা হয়।
বিষয়টি সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। কেননা আমি শুধুমাত্র আমার সফর সঙ্গীকে নিয়ে সেখানে যাই। এছাড়া অন্য কেউ আমার সাথে ছিলেন না। মুলত অভ্যন্তরিন দ্বন্ধে অহেতুক ভাবে হয়ত আমি রোষানলে পড়েছি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নামাজের আগে রাজধানীর মাতুয়াইলে নিউটাউন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ দখলের অভিযোগ আনা হয় হেদায়াতুল্লাহ আজাদীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ফেইসবুক লাইভে এসেও বিষয়টিকে স্পষ্ট করে প্রকাশ্যে আনেন তিনি ।
লাইভে এসে মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বলেন, সিরাজুল ইসলাম আকন ভাইয়ের ফোনে আমি নিউটাউন কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ পড়াতে যাই। আমি ওখানে গিয়েছি মূলত নামাজ পড়ানোর জন্য।
আমি আবুল কালাম আজাদ বাশার ভাইয়ের সাথে মোবাইলে কথা বলেছি এই বিষয়ে কিছুই জানতাম না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে ছাত্রদের নিয়ে আসা বা মোটরসাইকেল যোগে অনেককে নিয়ে আসা এটা সত্য নয়।
যারা আসছে তারা মূলত আমার বয়ান শুনতে এসেছে। আমি বর্তমানে যেখানে নামাজ পড়াই সেখানেই থাকবো।
Leave a Reply