মুলাদী প্রতিনিধি // বরিশালের আড়িয়ালখাঁ নদীর বালু মহালের ইজারাদারকে না জানিয়ে চুরি করে বালু তোলার অভিযোগে দুইটি বাল্কহেড আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে ইজারাদারের লোকজন বাল্কহেড দুইটি আটক করেন। এসময় বাল্কহেডে থাকা ৫ কর্মচারীকেও আটক করেছেন তাঁরা।
আটককৃতরা ভবিষ্যতে বালু মহালে প্রবেশ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এরির্পোট লেখা পর্যন্ত বাল্কহেড ও আটককৃতদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ইজারাদারের প্রতিনিধি লিটন সিকদার। জানা গেছে, বরিশাল জেলার সদর উপজেলা, বাবুগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী, গৌরনদী, উজিরপুরের একাংশ নিয়ে আড়িয়ালখা নদীর বাবুগঞ্জের টেংরাখালি পয়েন্টে বালু মহাল অবস্থিত। বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চলতি বছর প্রায় অর্ধকোটি টাকায় সততা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইজারা নেন।
ইজারাদার মো. ইমন হোসেন জানান, বালু মহালটি ইজারা পাওয়ার পর থেকেই একটি চক্র বালু চুরি করে নিচ্ছিলো। এতে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হন। পরে তিনি লোকজন নিয়ে বালু মহালে পাহারা বসান।
গত শনিবার ভোর রাত ৩টার দিকে বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর মালিকাধীন সোহান-জ্যোতি এবং নগর এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি বাল্কহেড নিয়ে চুরি করে বালু উত্তোলন করছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইজারাদারের লোকজন বালু মহালে পৌছে বাল্কহেড দুটিকে আটক করেন। এসময় নগর এন্টারপ্রাইজ বাল্কহেডের সুকানি মোঃ শামিম এবং সোহান- জ্যোতি বাল্কহেডের সুকানি মোঃ নাসির বেপারীসহ ৫জনকে আটক করেন। ইজারাদার আরও বলেন, আটককৃতরা চুরি করে বালু তোলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইদের নির্দেশে বালু তুলছিলেন বলে জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে বালু চুরি না করার মুচলেকা দিয়ে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করছেন। নগর এন্টারপ্রাইজ বাল্কহেডের সুকানি মোঃ শামিম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সাইফুল ইসলাম ও শাহআলমের নির্দেশে তাদের বাল্কহেডে বালু তুলতে ছিলাম। ইজারাদারের টোকেন স্লিপ ছাড়াই যে বালু বোঝাই করা হচ্ছিলো সেই বিষয়ে আমাদের জানা ছিলো না।
Leave a Reply